সুরমার তীরে নুরপুর গ্রামবাসীর মানববন্ধন
নদী ভাঙন রোধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
- আপলোড সময় : ১৪-১২-২০২৪ ০৮:২৬:১৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৪-১২-২০২৪ ০৮:২৬:১৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার ৯নং সুরমা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নুরপুর গ্রামের সুরমা নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পেতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ৩০০ মিটার নদীভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্লক ও জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছেন নুরপুর গ্রামের ভুক্তভোগীরা। শুক্রবার দুপুরে নুরপুর সুরমা নদীর তীরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আঃ সালাম, ফজর আলী, রাজা মিয়া, আঃ হাসিম, বাদশা মিয়া, ধলু মিয়া, ছমির মিয়া, সারুক মিয়াসহ আরো অনেকে।
এ সময় ভুক্তভোগীরা বলেন, সুরমা নদীর ভাঙনে ঘরবাড়ি, দোকানপাট-জায়গা-জমি হারিয়ে এখন আর সরে যাওয়ার জায়গাও নাই। বর্ষায় প্রবল ¯্রােত নদীর পাড়ের মাটি ধুয়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান মিয়া জানান, টানা নদী ভাঙনের কবলে পড়ে এখন একেবারে সর্বস্বান্ত। সবশেষ তার বসতভিটাও নদীগর্ভে বিলীনের অপেক্ষায়।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। নদীভাঙন থেকে রক্ষা পেতে এরই মধ্যে ৩০০ মিটার নদীভাঙন রোধ প্রকল্পে ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ করছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে নুরপুর গ্রামের মইনুল ইসলাম জানান, প্রথম যে জায়গা থেকে কাজ শুরুর কথা বলেছিলেন ঠিকাদার এবং ইঞ্জিনিয়ার সেই জায়গায় গাছ, বাঁশঝার ও ঘরভেঙে জায়গা পরিষ্কার করেছিলেন ভুক্তভোগীরা। এখন সেই জায়গায় কাজ না করায় এলাকার মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।
গ্রামের বাসিন্দা পিয়ারা মিয়া বলেন, ঠিকাদারের লোকজন আমাদের গাছপালা ঘরের চালাসহ ভেঙে দিয়ে পরিষ্কার করান ব্লক দেওয়ার জন্য। কিন্তু হঠাৎ এখন আমাদের এদিকে কাজ না করে গ্রামের মধ্য থেকে কাজ শুরু করায় এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করছে। হয় আমাদের ক্ষতিপূরণ দিক না হয় ব্লক ও জিওব্যাগ দিয়ে আমাদের নদীভাঙন থেকে রক্ষা করুক।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ভজন তালুকদার জানান, আমরা এলাকার মানুষের সাথে কথার বরখেলাপ করবোনা। অবশিষ্ট ১০০ মিটার রিভাইজ করে কাজ করা হবে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সমশের আলী জানান, ৩০০মিটার নদী ভাঙ্গনের প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার মানুষের জন্য আরো ১০০মিটার রিভাইজ করে পরবর্তীতে কাজ করা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ